আল কুরআন বিশ্বমানবতার মুক্তির সনদ, মহান আল্লাহ তায়ালার বাণী বান্দার প্রতি বিশেষ নেয়ামত ও সর্বশ্রেষ্ঠ মু’জিজা, যাতে রয়েছে মানবজাতীর সকল দিক ও বিভাগ সম্পর্কে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা। আল কুরআনের সংরক্ষণ আল্লাহ তায়ালার এক অভিনব পদ্ধতি। যখন কুরআনের কোন অংশ রাসূল (সাঃ) এর উপর অবর্তীণ হতো সাথে সাথ তিনি কাতিবে ওহী ও দ্বারা তা লিপিবদ্ধ করিয়ে নিতেন এবং সাহাবীগণ ঐ অংশটুকু মুখস্ত করে ফেলতেন। এভাবে সুদীর্ঘ ২৩ বছর পর যখন কুরআন অবতীর্ণ হওয়া সমাপ্ত হলো তখন একদিকে যেমনি তা পুরোপুরি লিপিবদ্ধ হলো অন্যদিকে তেমনি অসংখ্য সাহাবী কুরআন পূর্ণরূপে মুখস্ত করে তা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলেন। অতপর যুগযুগ ধরে উক্ত সংরক্ষণ ব্যবস্থা যথানিয়ম চলে আসছে। বিষয়ে রাসুল (সা:) বিশেষ করে উৎসাহ প্রদান করেছেন। তোমাদের মধ্যে সেই শ্রেষ্ঠ যে নিজে কুরআন শিখে এবং অপরকে শিখায় আমাদের দেশে এসলামী শিক্ষা ব্যবস্থায় মাদরাসা শিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এর গুরুত্ব অনুধাবন করে দেশে অসংখ্য মাদরাসা প্রতষ্ঠিত হয়েছে। এসব মাদরাসাগুলোতে আরবির পাশাপাশি বাংলা, ইংরেজি গণিত তথা আধুনিক শিক্ষা না থাকায়, শিক্ষার্থীগণ যুগোপযুগী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হেচ্ছ। এর ফলে তারা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না। প্রকৃতপক্ষে কুরআন হিফযের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মেধা বিকশিত এবং উৎকর্ষ সাধিত হয়, ফলে তা আধুনিক শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে অন্তরায় না হয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। প্রচিলিত পদ্ধতিতে পরিচালিত হিফয মাদরাসাগুলো যুগের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হচ্ছেনা। এছাড়া মানসম্পন্ন থাকা খাওয়াসহ উন্নত পরিবেশে হিফয করার ব্যবস্থা নে বললে চলে, তা গতানুগতিক এ ধারার পরিবর্তন সাধন করে যুগের চাহিদা পূরণে সক্ষম হাফেযে কুরআন তৈরির উদ্দেশ্য গাজীপুরের ঐতিহ্য বাহী চান্দনা চৌরাস্তা সংলগ্ন গ্রেটওয়াল সিটিতে মনোরম পরিবেশে প্রিতিষ্ঠিত হয়েছে গাজপিুর ইসলামিক একাডেমি নামে একটি আধুনিক হিফয মাদরাসা। কুরআন ও হাদীস তথা সহীহ আক্বীদার নিরিখে সুন্নাতে নববীর পূর্ণ অনুসরণে খোলাফায়ে রাশেদীনের অনুকরণে ওহী ভিত্তিক জ্ঞান ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় আল্লাহভীরু, বর্তব্যপরায়ন ও আন্তর্জাতিক মানের হাফেযে কুরআন গড়ার মাধ্যমে এবং আধ্যত্মিক গুনাবলীর বিকাশ সাধন করে মহান আল্লাহ তা’লার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জন আমাদের একমাত্র অভিষ্ঠ লক্ষ্য।