প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

image-not-found

২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত ইকরা মডেল মাদরাসার ধারাবাহিক সাফল্যে এলাকাবসীর দাবী ও শিক্ষার্থীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ভোলা জেলার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থীদের ও সর্বোপরি এলাকাবাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। এলাকাবাসীর সেবার মনোভাব নিয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রসারে এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে একটি স্থান করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য মানুষের মাঝে এক ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় তাঁরা তাঁদের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করাতে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অভিভাকগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকগণের একাগ্রতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা।

প্রতিষ্ঠাতা মহোদয়ের বাণী

image-not-found

আল কুরআন বিশ্বমানবতার মুক্তির সনদ, মহান আল্লাহ তায়ালার বাণী বান্দার প্রতি বিশেষ নেয়ামত ও সর্বশ্রেষ্ঠ মু’জিজা, যাতে রয়েছে মানবজাতীর সকল দিক ও বিভাগ সম্পর্কে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা। আল কুরআনের সংরক্ষণ আল্লাহ তায়ালার এক অভিনব পদ্ধতি। যখন কুরআনের কোন অংশ রাসূল (সাঃ) এর উপর অবর্তীণ হতো সাথে সাথে তিনি কাতিবে ওহী দ্বারা তা লিপিবদ্ধ করিয়ে নিতেন এবং সাহাবীগণ ঐ অংশটুকু মুখস্ত করে ফেলতেন। এভাবে সুদীর্ঘ ২৩ বছর পর যখন কুরআন অবতীর্ণ হওয়া সমাপ্ত হলো তখন একদিকে যেমনি তা পুরোপুরি লিপিবদ্ধ হলো অন্যদিকে তেমনি অসংখ্য সাহাবী কুরআন পূর্ণরূপে মুখস্ত করে তা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলেন। অতপর যুগযুগ ধরে উক্ত সংরক্ষণ ব্যবস্থা যথানিয়মে চলে আসছে। রাসুল (সা:) বিশেষ করে উৎসাহ প্রদান করেছেন, তোমাদের মধ্যে সেই শ্রেষ্ঠ যে নিজে কুরআন শিখে এবং অপরকে শিখায় আমাদের দেশে ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থায় মাদরাসা শিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এর গুরুত্ব অনুধাবন করে দেশে অসংখ্য মাদরাসা প্রতষ্ঠিত হয়েছে। এসব মাদরাসাগুলোতে আরবির পাশাপাশি বাংলা, ইংরেজি গণিত তথা আধুনিক শিক্ষা না থাকায়, শিক্ষার্থীগণ যুগোপযুগী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । এর ফলে তারা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না। প্রকৃতপক্ষে কুরআন হিফযের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মেধা বিকশিত এবং উৎকর্ষ সাধিত হয়, ফলে তা আধুনিক শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে অন্তরায় না হয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। প্রচিলিত পদ্ধতিতে পরিচালিত হিফয মাদরাসাগুলো যুগের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হচ্ছেনা। এছাড়া মানসম্পন্ন থাকা খাওয়াসহ উন্নত পরিবেশে হিফয করার ব্যবস্থা নেই বললেই চলে, তা গতানুগতিক এ ধারার পরিবর্তন সাধন করে যুগের চাহিদা পূরণে সক্ষম হাফেযে কুরআন তৈরির উদ্দেশ্যে শশীভূষণে ঐতিহ্য বহী মনোরম পরিবেশে প্রিতিষ্ঠিত হয়েছে ইকরা মডেল মাদরাসা নামে একটি আধুনিক নুরানী ও হিফয মাদরাসা। কুরআন ও হাদীস তথা সহীহ আক্বীদার নিরিখে সুন্নাতে নববীর পূর্ণ অনুসরণে খোলাফায়ে রাশেদীনের অনুকরণে ওহী ভিত্তিক জ্ঞান ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় আল্লাহভীরু, কর্তব্যপরায়ন ও আন্তর্জাতিক মানের আলেম ও হাফেযে কুরআন গড়ার মাধ্যমে এবং আধ্যাত্মিক গুনাবলীর বিকাশ সাধন করে মহান আল্লাহ তা’লার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জন আমাদের একমাত্র অভিষ্ঠ লক্ষ্য।

পরিচালক মহোদয়ের বাণী

image-not-found

“ তাদের মধ্যে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা বলে, হে আমাদের বর! আমাদেরকে দুনিয়ায় কল্যাণ দান কর এবং আখেরাতেও কল্যাণ দান কর, আর আমাদেরকে জাহান্নামের আজাব থেকে রক্ষা কর।”
রাসুলু্ল্লাহ (সা:) কে স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন শিক্ষাদান করেছেন। তিনি বলেন আমার রব আমাকে তা’লিম দিয়েছেন, তা কতইনা উত্তম শিক্ষা এবং আমার রব আমাকে তারবিয়াত করেছেন, তা কতইনা শ্রেষ্ঠ তরবিয়াত। (মুসনাদে আহমাদ)

পবিত্র কুরআনের এ দিক নির্দেশনাকে সামনে রেখে যে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হয়, সেটাই প্রকৃত শিক্ষা। যে শিক্ষা ব্যবস্থা মানুষকে পরনির্ভরশীল করে তৈরি করে তা যেমন ইসলামী শিক্ষা নয়, তেমনি যে শিক্ষা ব্যবস্থা মানুষকে মানবতা বিবর্জিত করে পশুতে রূপান্তরিত করে তাও কোন শিক্ষা হতে পারে না। ইসলামি ও আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থাই মানুষকে আত্মনির্ভরশীল, আল্লাহভীরু, সৎ ও দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। আর এ শিক্ষা ব্যবস্থা দ্বারাই দুনিয়া এবং আখেরাত সুন্দর হতে পারে, অন্যথায় নয়।
ইকরা মডেল মাদরাসা একটি ইসলামি ও আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দেশের দ্বিমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে ইসলামি ও আধুনিক শিক্ষার বাস্তব সমন্বয় সাধন করে ইসলামি আদর্শের বুনিয়াদে এই প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে গড়ে তোলা হয়েছে। ইসলামি জীবনাদর্শন, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি ও সমাজনীতি এসব ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদেরকে নৈতিক মূল্যবোধ ও চারিত্রিক গুণাবলি সমৃদ্ধ আদর্শ মুসলিম নাগরিক রূপে গড়ে তুলে নিদারুন আদর্শিক দীনতা ও নৈতিক বিপর্যয় থেকে উম্মাহর বভিষ্যৎ বংশধরকে রক্ষা করে নবী মুহাম্মদ (স:) এর প্রকৃত অনুসারী আলেমে দ্বীন ও দেশ প্রেমিক যোগ্য সুনাগরিক তৈরীর বাস্তব উদ্যোগই হচ্ছে ইকরা মডেল মাদরাসা

আপনার সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও তাকে যুগ সচেতন আলেশে দ্বীন আন্তর্জাতিক মানের, দ্বীন ইসলামের একনিষ্ঠ্য খাদিম ও সত্যিকার দাঈ হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে গড়ে তোলা হয়েছে ইকরা মডেল মাদরাসা তাই শিক্ষাবিদ তাঁর মেধা ও শিক্ষার আলো দিয়ে, বুদ্ধিজীবি তাঁর বুদ্ধিমত্তা দিয়ে, অভিভাবকগণ তাদের সুচিন্তিত পরামর্শ দিয়ে এ প্রতিষ্ঠানটিকে সাফল্যের উচ্চ শিখরে পৌঁছাতে সহযোগীতা করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা। প্রতিষ্ঠানের এ মহৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে করুনাময় আল্লাহ তা’লার রহমত আমাদের একমাত্র ভরসা ও পাথেয়। তাই সম্মানিত অভিভাবক, আপনার সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও আন্তর্জাতিক মানের আলেমে দ্বীন হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইকরা মডেল মাদরাসা বেছে নিতে পারেন। আপনার সন্তানকে গড়ে তোলার জন্য আমরা আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তা’য়ালা আামাদের কার্যক্রম কবুল করুন। আমীন।